_ _ _ _____ ___ __ __ _(_) | _(_)___ / ( _ ) / /_ ___ ___ _ __ ___ \ \ /\ / / | |/ / | |_ \ / _ \| '_ \ / __/ _ \| '_ ` _ \ \ V V /| | <| |___) | (_) | (_) | (_| (_) | | | | | | \_/\_/ |_|_|\_\_|____/ \___/ \___(_)___\___/|_| |_| |_|
পিসার হেলানো মিনার | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | রোমান ক্যাথলিক |
জেলা | তুস্কানি |
প্রদেশ | পিসা |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা | উন্মুক্ত |
অবস্থান | |
অবস্থান | ইতালি |
স্থানাঙ্ক | ৪৩°৪৩′২৩″ উত্তর ১০°২৩′৪৭.১০″ পূর্ব / ৪৩.৭২৩০৬° উত্তর ১০.৩৯৬৪১৬৭° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | বোনানো পিসানো |
ভূমি খনন | ১১৭৩ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৩৭২ |
বিনির্দেশ | |
উচ্চতা (সর্বোচ্চ) | ৫৫.৮৬ মিটার (১৮৩.৩ ফু) |
উপাদানসমূহ | মার্বেল, পাথর |
ওয়েবসাইট | |
www.opapisa.it |
পিসার হেলানো মিনার (ইতালীয়: Torre di Pisa; Torre pendente di Pisa) ইতালির পিসা প্রদেশের একটি ভবনবিশেষ। এ মিনারটি ঘণ্টা বাজানোর উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল। এর এক পাশ হেলে থাকার কারণে সমগ্র বিশ্বে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও সুনাম রয়েছে। নির্মাণের শুরু থেকেই এই মিনারের এক দিক থেকে ক্রমশঃ হেলতে থাকে। বর্তমানে এ অবকাঠামোটিকে রক্ষা করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করায় এর হেলে পড়া রোধ ও ভূপাতিত হওয়া থেকে রক্ষা করা গিয়েছে। একুশ বছর ধরে এর চতুর্দিকে অস্থায়ীভাবে মাঁচা তৈরী করা হয়েছিল। ২৬ এপ্রিল, ২০১১ সালে এর সর্বশেষ মাঁচাটি অপসারণ করা হয়। এর ফলে মিনারটিকে পুনরায় সঠিকভাবে দেখা যায়।[১]
ভূমি থেকে অষ্টতলাবিশিষ্ট এ মিনারের উচ্চতা প্রায় ৫৬ মিটার। এর সর্বমোট ওজন প্রায় ১৪,৫০০ টন। বর্তমানে এটি প্রায় ৩.৯৯ ডিগ্রী কোণে হেলে রয়েছে। এর ২৯৪টি সিঁড়ি আছে।
১১৭৮ সালে মিনারটির তৃতীয় তলা নির্মাণের পর এটি হেলতে শুরু করে। নরম মাটিতে মাত্র তিন মিটার গভীরতায় এর ভিত্তি গড়ে তোলাই মিনারটির হেলে পড়ার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়া মিনারের নকশাও এজন্যে কিছুটা দায়ী। অবকাঠামোটির নির্মাণকার্য শতাধিক বছর বন্ধ ছিল। কারণ পিসার অধিবাসীরা প্রায়শঃই , লুক্কা এবং ফ্লোরেন্সের সাথে যুদ্ধকর্মে লিপ্ত থাকতো।
পিসার হেলানো মিনারটির প্রকৃত স্থপতি কে ছিলেন তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। অনেক বছর ধরেই গাগলিমো এবং বোনানো পিসানোকে এর নকশাকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তন্মধ্যে বোনানো পিসানো ছিলেন দ্বাদশ শতকের সুপ্রসিদ্ধ পিসা নগরীর অধিবাসী ও শিল্পী। তিনি ব্রোঞ্জ দিয়ে গড়া পিসা দুমো'র জন্যেও স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি ১১৮৫ সালে পিসা ত্যাগ করে সিসিলি'র মনরিলে এলাকায় চলে যান এবং নিজ শহরে ফিরে আসা মাত্র দেহত্যাগ করেন। ১৮২০ সালে টাওয়ারের পাদদেশে তাঁর নামাঙ্কিত এক টুকরো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু এটি ১৫৯৫ সালে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ক্যাথেড্রেলের ব্রোঞ্জের দরজার সাথে সম্পর্কিত ছিল। এছাড়াও, সাম্প্রতিককালের গবেষণায় দেখা গেছে যে, দিওতিসালভি নামক এক ব্যক্তি পিসার হেলানো মিনারের প্রকৃত স্থাপত্যবিদ।[২] নির্মাণকার্যের সময়কাল, দিওতিসালভির কাজ-কর্ম, স্যান নিকোলা মিনারের ঘণ্টা ইত্যাদিতে এর প্রতিফলন ঘটেছে। সচরাচর তিনি তাঁর কাজগুলোয় স্বাক্ষর করতেন কিন্তু মিনারের ঘণ্টায় তিনি কোন স্বাক্ষর করেননি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনী জার্মান সেনাদেরকে মিনারের অভ্যন্তরে দেখতে পায় যা তারা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতো। মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন সার্জেন্ট জার্মান বাহিনীর অবস্থান নিশ্চিত করতে মিনারটিতে যান। তিনি মিনারের শৈল্পিক দক্ষতায় অভিভূত হন এবং ক্যাথেড্রালের সৌন্দর্য্য উপভোগ শেষে সেনাবাহিনীকে মিনার আক্রমণ না করতে নির্দেশ দেন। এভাবেই মিনারটি নিশ্চিত ধ্বংসের মুখোমুখি থেকে রক্ষা পায়।[৩][৪]
১৯৮৭ সালে পিজা ডেল ডুমো ও তার পার্শ্ববর্তী ক্যাথেড্রাল, বেপ্টিসটেরি এবং সিমেট্রিকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেয়া হয়।